প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যারা বাড়ি করছে তাদের বিনামূল্যে বালি দিতে হবে : হুঁশিয়ারী সাংসদের

28th June 2020 9:56 pm বাঁকুড়া
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যারা বাড়ি করছে তাদের বিনামূল্যে বালি দিতে হবে : হুঁশিয়ারী সাংসদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের বালি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানতোর শুরু লালমাটির জেলা বাঁকুড়ায়। রবিবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হঠাৎই সোনামুখীর ডিহিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দামোদর নদীর কুলডাঙ্গা বালি খাদানে হানা দিলেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।  নদীর পাড়ে বালি মজুত রাখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি বালি খাদান কর্তৃপক্ষকে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরীর জন্য উপভোক্তাদের বিনামূল্যে বালি সরবরাহের নির্দেশ দেন।

   পরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারী বলেন, 'এটা বীরভূম নয়। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র। বালি মাফিয়াগিরি বন্ধ করে এলাকার প্রত্যেক মানুষকে বিনা পয়সায় বালি দিতে হবে। আর তা না করলে বালি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।

যদিও এর পাল্টা বক্তব‍্য রেখেছে তৃণমূল । সোনামুখী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ইউসুফ মন্ডল বলেছেন , সৌমিত্র খাঁ এক নম্বরের ধাপ্পাবাজ , বালির দালালী করছিলো বলেই দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন নেত্রী । পুরানো অভ‍্যাসটা রয়ে গেছে বলেই বালি খাদানে গিয়েছিলো বলে মত তৃণমূল নেতার । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।